গেম রিভিউ : মর্টাল কমব্যাট ১১ (রিভিউ-১)

বতর্মান সময়ের আলোচিত গেমগুলোর মধ্যে অন্যতম মর্টাল কমব্যাট ১১। প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয় মর্টাল কমব্যাট সিরিজের সর্বশেষ গেম এটি। গত ২৩ এপ্রিল গেমটির প্রাথমিক উন্মোচন হয়। নেদাররিয়েলম স্টুডিওসের ডেভেলপার করা গেমটি প্রকাশ করেছে ওয়ার্নার ব্রোস এবং ইন্টার‍্যাক্টিভ এন্টারটেইনমেন্ট। গেইমটি নিনটেন্ডো সুইচ, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, এক্সবক্স ওয়ান এবং প্লেস্টেশন সংস্করণে চলে এই লড়াই গেম।

পটভূমি

এক বা একাধিক প্লেয়ার মুডের গেমটি মর্টাল কমব্যাট এক্স এর পর থেকে শুরু হয়েছে। নিজের ইচ্ছেমতো চরিত্র নির্বাচন করে গেমাররা একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে পারেন।


আগের গেইমে ক্যাসি কেইজের কাছে শিনক হেরে যাওয়ার পর রাইডেন সিদ্ধান্ত নেয় একাই সব শত্রুকে ধ্বংশ করবে। আর তাই প্রথমেই শিনককে খুন করা হয়। আর একের পর এক শত্রুকে ধ্বংশ করার এই পুরো বিশ্ব অস্থিতিশীল হয়ে উছে। তখন শিনকের মা ক্রনিকা এবং তার দলবল রাইডেনকে থামাতে উঠে পড়ে লাগে। আর তাই মূল শত্রু হিসেবে থাকছে দলটি।

গেমটিতে আগের মতোই নায়কের সাথে থাকছে লিউ ক্যাং, কিটানা, সনিয়া ব্লেড প্রমুখ। গেমার তার ইচ্ছামতো এই চরিত্রগুলো সাজিয়ে নিতে পারবেন।

আগের সব মুভ ও ফেটালিটির পাশাপাশি মর্টাল কমব্যাট ১১ এ যুক্ত হয়েছে ফেটাল ব্লো এবং ক্রাশিং ব্লো মুখ। ফেটাল ব্লো হলো আগের গেমের এক্স-রে মুভের মতো। এটি অধিক পরিমানে ক্ষতিসাধন করতে পারে। তবে গেমারের লাইফ ৩০ শতাংশ বাকি থাকতে এটি ব্যবহার করা যাবে এবং একটি গেমে একবারই ব্যবহার করা যাবে। অন্যদিকে ক্রাশিং ব্লো হলো স্পেশাল সিনেমাটিক ভ্যারিয়েশন। কিছু রিকোয়ারমেন্টস মিলে গেলেই এটি ব্যবহার করা যাবে, আগের গেমের ব্রুটালিটিসের মতো। মর্টাল কমব্যাট ৩ তে সর্বশেষ দেখা মার্চি এবার আরেকজন সমাপ্তকারী হিসেবে ফিরে এসেছে।


গেমটি সহজে বোঝার জন্য থাকছে টিউটোরিয়াল। ফলে এটি দেখে সহজেই যে কেউ গেমটি খেলা শুরু করতে পারবে। আগের গেমগুলোর চেয়ে এই গেমটিতে গ্রাফিক্স, স্পেশাল ইভেক্ট ইত্যাদির মান আরও উন্নত হয়েছে।

বয়স : গেমারদের প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে

গেমটি খেলতে পিসিতে ন্যূনতম যা যা লাগবে:
  • উইন্ডোজ ৭/ উইন্ডোজ ১০
  • ইন্টেল কোর আই ফাইভ প্রসেসর
  • ৮ গিগাবাইট র‍্যাম
  • এনডিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ৬৭০/১০৫০ অথবা এমডি রেডিয়ন এইচডি ৭৯৫০/আর৯ ২৭০ গ্রাফিক্স কার্ড
  • ডিরেক্টএক্স ১১
  • ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ
ডিবিটেক/বিএমটি

Share on Google Plus

About Bashuria

প্রেম,ভালোবাসা,ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা সুরের তালে, ছন্দের তালে, বাঁশুরিয়ার বাঁশির গেঁয়ো সুরে

0 comments:

Post a Comment