চীনের নামকরা মোবাইল গেম ডেভেলপার কোম্পানি চেংডু নিবিরুটেক ইঙ্ক জন্মের শুরু থেকেই মোবাইল গেম ডেভেলপ করেছে এবং গেমারদের উপহার দিয়েছে বেশ কিছু ভালোমানের গেম, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ব্রুটাল এজ, ইনভেশন, গ্যালাক্সি লিজেড, গ্যালাক্সি এম্পায়ার, কিং এম্পায়ার ও স্পার্টান ওয়ারস। গেম ডেভেলপার কোম্পানিটি ট্যাপফোরফান নামেই বেশি পরিচিত এবং তাদের সব গেমে ট্যাপফোরফান নামের লোগো ব্যবহার করে থাকে। আমাদের আজকের রিভিউ হচ্ছে ট্যাপফোরফানের বানানো নতুন রিয়েল টাইম মাল্টিপ্লেয়ার স্ট্র্যাটেজি গেম ‘সি গেম: মেগা ক্যারিয়ার’ নামের গেমটি নিয়ে। গেমটি গত ২৬ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে এবং ইতোমধ্যে ১০ লাখেরও বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে। গুগল প্লেতে গেমটির রেটিং ৫-এর মধ্যে ৪.২।
পটভূমি
গেমের কাহিনীর মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে ভিন্ন একটি প্যারালাল ইউনিভার্স, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যা ১৯৬০ সাল অবধি এখনো চলমান। শত্রুপক্ষ পরাজয়ের দিকে ধঅবিত হতে হতে হঠাৎ আবিষ্কার করে গুপ্ত সমুদ্রনগরী আটলান্টিসের রহস্যময় শক্তিশালী প্রযুক্তি। এতে তারা আবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং শুরু করে ভয়ানক প্রজেক্ট ফাইনাল মেডুসা। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে সব প্লেয়ারকে একত্রে। ভিন্ন ভিন্ন অ্যালায়েন্স বা গোষ্ঠী বানিয়ে বানচাল করতে হবে শত্রুর প্ল্যান। অন্যান্য মোবাইল মাল্টিপ্লেয়ার স্ট্র্যাটেজি অ্যাকশন গেমের সাথে এই গেমের পার্থক্য হচ্ছে- এখানে সৈন্যবাহিনী, ট্যাঙ্ক, ফাইটার জেট ইত্যাদির পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে নানা রকমের যুদ্ধজাহাজ এবং বিচরণ করতে হবে সমুদ্রে।
গেমারকে একটি আইল্যান্ডে তার যাত্রা শুরু করতে হবে। গেমের মূল আকর্ষণ হচ্ছে মেগাক্যারিয়ার, যা অনেকটা মার্ভেল মুভি সিরিজের শিল্ডের উড়ন্ত হেডকোয়ার্টার হেলিক্যারিয়ারের মত। গেমে অনেকগুলো মেগাক্যারিয়ার আছে, যার একেকটির ক্ষমতা একেকরকম। মেগাক্যারিয়ারের পাশাপাশি জলযুদ্ধযান হিসেবে আরো আছে ক্যারিয়ার, ব্যাটেলশিপ, ডেস্ট্রয়ার ও সাবমেরিন। মেগাক্যারিয়ার ও জলযুদ্ধযানগুলোকে আপগ্রেড করে আরো শক্তিশালী করা যাবে। প্রতিটি মেগাক্যারিয়ারের জন্য আলাদা করে ২০ লেভেলের মিশন রয়েছে। গেমে খনি বা মাইন থেকে তেল ও স্বর্ণ আহরণ করতে হবে এবং ইলেকট্রিসিটি ও স্টিল উৎপাদন করতে হবে। এক অ্যালায়েন্স আরেক অ্যালায়েন্সের সাথে মৈত্রী স্থাপন করে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে পারবে বা শত্রুতা করে একে অপরকে বিনাশ করে দিতে পারবে। অ্যালায়েন্স টাওয়ার স্থাপন করে সমুদ্রসীমা দখল করে নিজের ঘাঁটির সীমানা বাড়াতে হবে। তবে সবার লক্ষ্য থাকবে ম্যাপের কেন্দ্রে থাকা সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট দখল করে লর্ড অব দ্য সি হিসেবে সমুদ্রে রাজত্ব করা।
গেমটিতে ভালোমানের গ্রাফিক্সের পাশাপাশি রয়েছে দারুণ সাউন্ড ইফেক্ট ও মিউজিক। গেমের ম্যাপ আকারে ছোট হওয়ায় গেমে প্রতিযোগিতা অন্যান্য স্ট্র্যাটেজি গেমের তুলনায় কিছুটা কম। গেমে এক দ্বীপ থেকে পণ্য কিনে অন্য দ্বীপে গিয়ে তা বিক্রি করে ব্যবসায় বাণিজ্য করার ব্যাপারটি একটি নতুন চমক। মাত্র ৯৬ মেগাবাইটর এই দুর্দান্ত গেমটি অ্যান্ড্রয়েড ৪.০.৩ থেকে শুরু করে পরের সব ভার্সন সাপোর্ট করবে। গেমটির ধাঁচ অনেকটা সুপারসেলের বুম বিচের মতো হলেও গেমটির থিমে কিছুটা নতুনত্ব থাকায় গেমটি সবার ভালো লাগবে।
0 comments:
Post a Comment